শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
এক দফা দাবিতে নার্সদের পতাকা মিছিল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ বিসিক মুদ্রণ শিল্পনগরী স্থাপন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে বিজিবি সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলকে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ফুলেল শুভেচ্ছা বাড়ছে পদ্মার পানি, বন্যার আতঙ্ক রাজশাহীতে টেক্সটাইল করপোরেশন পরিদর্শন করলেন বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা দূষণ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে বিশ্বব্যাংক : পরিবেশ উপদেষ্টা “যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ঝটিকা সফর” স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াতের

ডেসটিনির চেয়ারম্যান-এমডির জামিন আবেদন খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের জামিন চেয়ে করা আবেদন খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতের দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট। মঙ্গলবার শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় জন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এর আগে রোববার এ আবেদনের ওপর শুনানি সম্পন্ন হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনসহ ডেসটিনি গ্রুপের ২২ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান থানায় দু’টি মামলা করে দুদক। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ (এমএলএম) ও ট্রি-প্ল্যানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে তিন হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দু’টি করা হয়। বর্তমানে এ মামলায় দু’জনই কারাগারে রয়েছেন।

২০১৬ সালের ২০ জুলাই শর্তসাপেক্ষে রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে দুদকের আবেদনে তা স্থগিত করে দেন আপিল বিভাগ। এ আবেদনের শুনানির একপর্যায়ে আত্মসাৎ করা টাকা জমা দেয়ার কথা বলেন সর্বোচ্চ আদালত। সে অনুসারে ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ডেসনিটির পক্ষ থেকে গাছ বিক্রি করে টাকা দেয়ার কথা বলা হয়।

ওইদিন হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানানো হয় যে, তাদের কাছে ৩৫ লাখ গাছ আছে। প্রতিটি গাছ আট হাজার টাকায় বিক্রি করে দুই হাজার ৮শ’ কোটি টাকা দিতে পারবেন তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে জামিনের শর্ত পূরণে আপিল বিভাগ দুই আসামি যে কারাগারে আছেন, সেখানে তাদের সঙ্গে গাছ বিক্রির সব কাগজপত্রে সই ও আলোচনার সুযোগ দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

ডেসটিনি ট্রি-প্ল্যান্টেশনের সিইও ড. শামসুল হক ভূঁইয়া এমপির তত্ত্বাবধানে সব কাজ সম্পন্ন হবে। যদি গাছ বিক্রি করে দুই হাজার ৮শ’ কোটি টাকা দিতে না পারেন। তাহলে নগদ দুই হাজার ৫শ’ কোটি টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দেবেন তারা। এর অনুলিপি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানকে পাঠাতে হবে। এরপর যারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, যাচাই করে তাদের কাছে টাকা হস্তান্তরের পর জামিনে মুক্তি পাবেন দুই কর্মকর্তা।

কিন্তু কয়েকমাস পরে তারা এ আদেশের সংশোধন চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে কারাগারে থাকায় এ শর্ত পূরণ সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি করেন তারা। পরে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর আপিল বিভাগ সংশোধন চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 ithostseba.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com